Monday, October 5, 2009

আসিয়াও কেনো গো যাও চলে এভাবে.....



ঘুম ভাঙার পর, আজকের দিনে, যে বাঙালির বুক একটি বারের তরেও ছ্যাঁত্ করে ওঠে না, সে বাঙালিই নয়. তবে, বাঙালিয়ানা বাজিয়ে নিতে বাঙালি যতই নাইট ক্লাবে ফূর্তি করতে যাক না কেন, বিজয়া দশমীর কথা মনে পড়া মাত্র সকলেরই বুকের কোথাও না কোথাও একটা চিনচিনে অনুভূতি খেলা করে যায়.... তরুণতর প্রজন্মের চোখে খেলা করে ঝলোমলো অশ্রুকণা. ..আজও কোথাও সব হারানোর বেদনা আজই বাজে বিষাদের সুরে...........
কারণ বিজয়া দশমীর বিষণ্ণ সানাইয়ের সঙ্গে আমাদের আত্মীয়তা যে আজকের নয় .... এ দিন ঘুম ভাঙার পর থেকেই মনখারাপের মন্তাজ. বিষণ্ণ সকাল, বিষণ্ণ দুপুর আর বিষণ্ণ সন্ধে পেরিয়ে নিজে হাতে দেবীকে বিসর্জন দিয়ে আসতে হয় তো আমাদেরই. তারপর,... একগলা কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরে সেরা হালুইকরের সন্দেশটিও মনে হয় উচ্ছেতেতো.... তার্কিকরা কী করে টের পাবেন এর রসায়ন! আসলে ওরা খোঁজে স্বার্থের ইতিহাস.., আমরা বরণ করি সংস্কৃতির আলো.
মা, এ সব চেঁচামেঁচিতে তুমি একদম কান দিও না, যার যা ইচ্ছে বলতে দাও. বছরে মাত্র চারটে দিনের জন্য আস, খুব হাসাও, আনন্দে মাতিয়ে তোলো. এর পর এক লহমায় কাঙাল করে দিয়ে চলে যাও. ''বছরে একটা দিন না হয় আমাদের টের পেতে দাও, বিষাদ কারে কয়''.আবারও একটি বছরের অপেক্ষা যেদিন সাধারন বাঙালি আরও অনেকের মতো.... হয়ে উঠবে সবার থেকে আলাদা.....